আমলকী: আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
হরতকি: হরিতকী থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা আমাদের গ্যাসের সমস্যা থেকে দারুণ ভাবে মুক্তি দেয়। মলের অনিয়ম বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেয়।
বহেড়া: সাদা বা রক্ত আমাশয়ে প্রতি দিন সকালে জলের সঙ্গে বহেড়া চূর্ণ খেলে উপকার হয়।
জোয়ান: পেট ব্যাথা,অম্লতা ও হজম সমস্যা জোয়ান অনেক কার্যকর। এছাড়া জোয়ানে রয়েছে থিমল তেল। তাই যে কোন ব্যথা কমাতে জোয়ান কার্যকর। জোয়ানের তেল আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ। হাঁটু কোমর বা গাঁটের ব্যথায় জোয়ানের তেল কাজে লাগে।
সোনাপাতা: কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ সোনাপাতা। রাসুল সাঃ বলেন, এমন কোনো প্রতিষেধক যদি থাকতো, যা মৃত্যুকে প্রতিরোধ করতে পারতো, তাহলে তা হতো সিনা/ সোনা পাতা। (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৩৪৬১) এই কথা থেকেই সোনাপাতার কার্যকারিতা ও গুরুত্ব কতটা ব্যাপক তা ধারণা পাওয়ার যায়।
আমরুল: আমরুল ভিটামিন ‘সি’ এর অভাব দূর করতে, পেট পরিষ্কার করতে, ত্বক ভালো রাখতে, মুখের রুচি বাড়াতে, সর্দি-কাঁশি সমস্যায়, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে ওষুধের মতো কাজ করে।
বেল: বেল গাছের সবকটি অংশকেই বলা হয়েছে ভেষজ গুণসম্পন্ন। কিন্তু -এর মধ্যে বেশি উপকারীতা হলঃ- ১. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ২. ডায়েরিয়া কমায় ৩. পেপটিক আলসারের ওষুধ ৪. ডায়াবেটিস কমায় ৫. ক্যানসার থেকেও দূরে রাখে ৬. আমাশয় কমায়।
মেথি: পেটের পিড়া, পেট ও বুক জ্বালা, হজমের সমস্যার সমাধান করে। এছাড়া বুকে বা পেটের উপরের দিকে এসিডের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় মেথি। সেই সঙ্গে বদহজমের সমস্যায় ওষুধের মত কাজ করে।
প্রতিদিন এক চা চামচের এক গ্লাস পানিতে পিওর গ্যাস্ট্রো পাউডার ভালো করে গুলিয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে সকালে এবং রাতে খালি পেটে খাবার আগে খেতে হবে ।
অবশ্যই নিয়ম মত সেবন করতে হবে ।
সময় মত খাবার খেতে হবে এবং সময় মত ঘুমাতে হবে।
WhatsApp us